Thursday, April 27, 2023

সময়

 


সময়- পৃথিবীর অস্তিত্বের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এইটা। আর বর্তমান যুগে তো সময়কে এতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যে, বলা হয়  সময়== টাকা । আজকে সেই সময় নিয়ে কিছু তথ্য, গুরুত্ব ,প্রয়োজনীয়তা, ও ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব।


প্রথমে আসি সময় কী? 


কিছু বিজ্ঞানীদের সংজ্ঞা দিয়ে শুরু করি :

১)Albert Einstein: "Time is what a clock reads."

      

        আইনস্টাইন বিখ্যাতভাবে সময়কে ঘড়ির পরিমাপ হিসাবে সংজ্ঞায়িত       করেছিলেন। এটি একটি সাধারণ সংজ্ঞা বলে মনে হতে পারে, তবে এটি তার আপেক্ষিকতার তত্ত্বকে প্রতিফলিত করে, যা দেখায় যে সময় একটি ধ্রুবক নয় এবং এটি মাধ্যাকর্ষণ এবং বেগের মতো কারণগুলির দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে।

#Reference: "Relativity: The Special and General Theory" by Albert Einstein (1916)))


২)Stephen Hawking: "Time is a concept that we use to describe the sequence of events that take place in the universe."(স্টিফেন হকিং: "সময় একটি ধারণা যা আমরা মহাবিশ্বে সংঘটিত ঘটনার ক্রম বর্ণনা করতে ব্যবহার করি।")


       Reference: "A Brief History of Time" by Stephen Hawking (1988)


৩)Max Planck: "Time is a necessary and unavoidable concept which cannot be defined in terms of anything simpler."(ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক: "সময় একটি প্রয়োজনীয় এবং অনিবার্য ধারণা যা সহজ কিছুর পরিপ্রেক্ষিতে সংজ্ঞায়িত করা যায় না।")


   প্ল্যাঙ্ক পদার্থবিজ্ঞানে একটি মৌলিক ধারণা হিসাবে সময়ের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছেন, কিন্তু এটাও স্বীকার করেছেন যে অন্যান্য ধারণার পরিপ্রেক্ষিতে এটি সংজ্ঞায়িত করা কঠিন।তিনি বিশ্বাস করতেন যে সময় মহাবিশ্বের একটি মৌলিক বিল্ডিং ব্লক, স্থান এবং পদার্থের অনুরূপ।


Reference: "The Philosophy of Physics" by Max Planck (1936)


এবার আসুন মুসলিম বিজ্ঞানীদের   তত্ত্ব জেনে আসি সময়  সম্পর্কে


১)Al-Farabi: "Time is a continuous and uniform movement, by which measurement and calculation can be made."(আল-ফারাবি: "সময় একটি অবিচ্ছিন্ন এবং অভিন্ন গতিবিধি, যার দ্বারা পরিমাপ এবং গণনা করা যায়।")


Reference: "Kitab al-Huruf" by Al-Farabi (9th century)


২)Ibn al-Haytham: "Time is a dimension of the universe that enables change to occur."(ইবনে আল-হাইথাম: "সময় হল মহাবিশ্বের একটি মাত্রা যা পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম ")

ইবন আল-হাইথাম, 11 শতকের একজন মুসলিম পদার্থবিদ এবং দার্শনিক, সময়কে মহাবিশ্বের একটি মাত্রা হিসাবে দেখেছিলেন যা পরিবর্তন ঘটতে দেয়।তিনি বিশ্বাস করতেন যে সময় এবং স্থান পরস্পর সংযুক্ত এবং স্থানের মাধ্যমে বস্তুর গতিই সময়ের উত্তরণ সৃষ্টি করে।


Reference: "The Optics of Ibn al-Haytham" by Ibn al-Haytham (11th century)


৩)Al-Ghazali: "Time is the measure of the movement of the universe, and every being in it is subject to its effects."(আল-গাজালি: "সময় হল মহাবিশ্বের গতিবিধির পরিমাপ, এবং এর প্রতিটি প্রাণী তার প্রভাবের অধীন।")


এটা ছিল বিখ্যাত মনীষীদের সংজ্ঞা বা তত্ত্ব।


আমার কাছে যেটা মনে হয়-” সময় হচ্ছে আসলে মহাবিশ্বের অভ্যন্তরে বস্তুর বা প্রাণীর অবস্থানের, দশার, বা গাঠনিক পরিবর্তনের সম্মিলিত রূপ। ”


মানে যখন কোন কিছুর পরিবর্তন সাধিত হয় তখনই কেবল  সময়ের অস্তিত্ব আমরা উপলব্ধি করতে পারি।


একটা ছোট্ট উদাহরণ দিলে হয়তোবা বোঝাটা সহজ হবে-


ধরেন আপনি টমেটো বাগান থেকে একটা টমেটো তাজা ছিঁড়ে নিয়ে আসলেন এবার সে টমেটো  ধুয়ে  একটা টেবিলের উপর রাখলেন। টমেটোর গা থেকে  তখনও পানি গড়িয়ে পড়ছে। টমেটো টাকে ওই অবস্থায় রেখে আপনি বাসা থেকে চলে যান এবং এক বছর পরে আসুন। আসার পরে দেখলেন আপনার টেবিলে রেখে যাওয়া সেই টমেটো থেকে এখনো পানি ঝরে পড়ছে এবং টমেটো সেই প্রথমবারের মতোই তাজা আছে। এবার আপনি বলেন  আপনার কাছে কি মনে হবে যে টমেটোটা এক বছরের পুরনো? মনে হবে না। আপনার কাছে মনে হবে হয়তোবা কেউ এখনই টমেটো তাজা গাছ থেকে ছিড়ে এনে ধুয়ে টেবিলে রেখে দিয়েছে। কারণ কি? কারণ টমেটোর অবস্থানের কোন পরিবর্তন হয়নি ।টমেটোর  দশার কোন পরিবর্তন হয়নি। না টমেটো পচে গেছে এমনকি টমেটো থেকে যে পানি বিন্দু গড়িয়ে পড়ছিল সেই পানি বিন্দু পর্যন্ত শুকিয়ে যায়নি। তার মানে হচ্ছে সময় সেখানে স্থির ছিল বা আসলে ছিলই না। 


যদিও বাস্তব জীবনে আসলে এটা কখনোই সম্ভব না শুধু বোঝানোর জন্য উদাহরণ টা দেয়া। যে সময় আসলে পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। 


#raduan_islam_naim


Monday, April 24, 2023

ধর্ম

 একটু শুরু থেকেই বলা যাক..পৃথিবীতে বসবাসকারী  জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বিভিন্ন স্রষ্টায় বিশ্বাসী। কেউবা স্রষ্টায় না, বিশেষ ক্ষমতায় বিশ্বাসী ।কারো কাছে স্রষ্টার অস্তিত্ব অলৌকিক তো আবার কারো কাছে স্রষ্টার অস্তিত্ব জাগতিক। আমরা আলাদা আলাদা স্রষ্টায় বিশ্বাস করি এবং বিশ্বাস করি যে স্রষ্টা আমাদেরকে সৃষ্টি করার পর কিছু নিয়ম  দিয়েছেন,যেগুলো অনুসরণ করা আমাদের দায়িত্ব। স্রষ্টার প্রণীত সেই সকল বিধিবিধান নিয়ম-কানুনকে সাধারণ অর্থে ধর্ম বলা যায়। তবে ধর্ম হচ্ছে মূলত একটি মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার একটি বিশেষ বিধান। সহজ ভাষায় বলা যায় জন্মের পর থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ,ঘুম থেকে উঠা শুরু করে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত, বাবা-মা থেকে শুরু করে সমাজের সকল স্তরের মানুষের সাথে যোগাযোগ, ব্যবহার,সম্পর্ক  ইত্যাদি বজায় রাখা এই সকল কিছুই ধর্মের আওতাভুক্ত। তার মানে  বোঝানোর জন্য কিছু উদাহরণ দিচ্ছি : :


#আপনি কি কি খাবেন কিভাবে খাবেন এটা আপনার ধর্ম।তারমানে আপনি যা খাচ্ছেন যেভাবে খাচ্ছেন সেটা যে ধর্মের সাথে মিলবে আপনি সেই ধর্মের অনুসারী। কারণ প্রত্যেকটা ধর্মের নিজস্ব বিধি-বিধান রয়েছে।

#একইভাবে আপনি কি পোশাক পরছেন কি ধরনের পোশাক পরছেন এটাও আপনার ধর্ম।

#আপনি জীবন পরিচালনার জন্য উপার্জন করবেন, কিভাবে উপার্জন করা উচিত? কেমন ব্যবহার করা উচিত এসব কিছুই আপনার ধর্মের অন্তর্ভুক্ত।

ধর্ম কেন জরুরী?

যখন আপনি কোন নিয়মের আওতায় আছেন যখন আপনি জানেন যে আপনাকে কি করতে হবে, তখন সকল ধরনের কাজই আপনার জন্য সহজ। কিন্তু যদি বিষয়টা এমন হয় যে আপনি জানেন না কি করতে হবে ,কিভাবে করতে হবে,কেন করতে হবে। তখন জীবন পরিচালনা খুবই  দুষ্কর। কারণ লক্ষ্যবিহীন কোন জীবন আসলে খেল তামাশা এবং অপচয় ছাড়া কিছুই নয়। আর একজন মানুষের লক্ষ্য বিভিন্ন হতে পারে।  সকল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মানুষকে সফলতার দিকে নিয়ে যায় না। তাই সঠিক লক্ষ্য নির্বাচনের জন্য সঠিক ধর্ম নির্বাচন জরুরী। যার মাধ্যমে আপনি একটা  সঠিক দিক নির্দেশনা পাবেন।

#raduan_islam_naim

Ismail al Jazari(the greatest inventor and engineer)

 

  • তার জীবনকাল(1136-1206)

  •  অটমেশন রোবটিক্স এর জনক (The father of Robotics)

  • তিনি সুলতান নাসিরুদ্দিনের দরবারের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন 

  • মেসোপটেমিয়ার জাজিরার আর্তুকিদ রাজবংশের উদ্ভাবক, যান্ত্রিক প্রকৌশলী, কারিগর, শিল্পী এবং গণিতবিদ।

  • তিনি 1206 সালে দ্য বুক অফ নলেজ অফ ইনজেনিয়াস মেকানিক্যাল ডিভাইসস (আরবি: كتاب في معرفة الحيل الهندسية,) লেখার জন্য সর্বাধিক পরিচিত।, যেখানে তিনি 50টি যান্ত্রিক ডিভাইস বর্ণনা করেছেন, সেই সাথে সেগুলি কীভাবে তৈরি করতে হয় তার নির্দেশাবলী সহ।

  • তাকে "রোবোটিক্সের জনক" এবং আধুনিক দিনের প্রকৌশল হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে

  • আল-জাজারি 1136 সালে উচ্চ মেসোপটেমিয়া এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। সূত্র জানায় যে তার সঠিক অবস্থান অজানা, তবে তারা অনুমান করে যে তিনি জাজিরাত ইবনে উমর-এ জন্মগ্রহণ করতে পারেন, যেখানে তিনি জাজারি নামটি পেয়েছেন। 



Al -Jazari’s Invention

elphent clock:



#raduan_islam_naim

আল-আলফায আল-মুশতারাকাহ

  আমাদের কুরআনে এরকম অসংখ্য শব্দ রয়েছে যে সকল শব্দের ভিন্ন ভিন্ন অর্থ থাকার কারণে ফতোয়া গত দিক থেকে বিভিন্ন ইমামদের ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে ...